বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৪

অরুণ অবসানে জোৎস্না

বধু বসে লাজে রাঙা, মুখে ঢাকা ঘোমটা,
এল বুঝি মধুক্ষণ, কাঁপে দুরু মনটা।
অবশেষে হল শেষ, ঠোঁটে হাসি মনে খই,
আয় কাছে মন খুলে, দুইখানা কথা কই।

যত খুশি, বাহাদুরি, করে যাও কতকাল,
হলে কিছু পুরাতন, দেখে নিও কত ঝাল!
পেট-মন-চোখ সবি, জ্বলে যাবে অনলে,
চিন্তারা লাইনছাড়া, খুঁজে সুখ পটলে!

হতে পারে উল্টা ও, সুখ ভুড়ি মনে ওম,
প্রতিবেশী ঈর্ষায়, জ্বলে বুধ, রবি-সোম।
রাঙা ফের জগতটা, জোর ছোটা শিখরে,
এমনই হোক সখা, আলোময় ও ঘরে।।

===
-- উৎসর্গ প্রিয় অরুণ কে;
-- কিঞ্চিত ব্যাখ্যা:
জীবিত = অরুণ = সূর্য = জলন্ত, দূর্বিনীত
বিবাহিত = জোৎস্না = প্রতিফলিত আলোর মত স্নিগ্ধ
 

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪

বিদায়ের অভিমান

একদম যাচ্ছি যে চলে আজ বাড়ি,
সুযোগ আর পাবি নাকো দিতে কোনো ঝাড়ি।
ভালবাসা স্মৃতিগুলো যদি মনে পড়ে,
ভেসে যাবে কিছু পরে, আঘাতের ঝড়ে।

খুঁজে খুঁজে এর পরে যদি কিছু পাস,
বেঁধে রাখ বাহুডোরে দুরে রেখে বাঁশ।
হয়তোবা উঁকি দিয়ে মাঝে যাব দেখে,
লোক বদলের মাঝে যদি কিছু শেখে ...

কভু যদি ভুলে দিস মোর জুতা পায়,
বুঝবি কী যন্ত্রণা জমা আছে তায় ...
অবুঝের ত্যাড়া ঘাড়ে বুঝেছিলি যা,
দেখে নিস কত ব্যথা দিয়েছিলো তা।

রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৪

হাটুরে জ্যামে বিদগ্ধ পংক্তিমালা

১।
খলবলিয়ে হাসছে দেখি, গোস্ত খাওয়ার দল,
ছাগল গরু কাটবে সবে, সবই ত্যাগের ছল।
বন্যা খুশির উপচে পড়ে, পশুর অবোধ কান্না,
রক্ত প্লাবন মধুর নাকি, চড়বে হাঁড়ির রান্না।

২।
রাস্তাটা ভরে গেছে গরু আর ছাগলে,
জ্যামে শান্তির বায়ু - কয় কোন পাগলে?

৩।
মেইন রাস্তায় পশুর হাটে,
নাইওর গেছে শৃংখলা,
যেমন ইচ্ছা যেথায় খুশি,
সভ্যতারে কাঁচকলা।

৪।
জুম্মা-দুপুর রাস্তা বন্,
লোকদেখানি মোল্লা,
কৈতে গেলে নামায় দিবো,
এক কোপে মোর কল্লা!

থাকুক জ্যামে আটকে সবাই,
হোক রোগী কি শিশু,
ধর্ম-বর্ম ভীষন ঝাঁঝের,
বলার আছে কিসু?!

৫।
ট্যাকের গরম বিরাট পশু,
ত্যাগের কি গো ছিরি,
এক দিনেতে হইলো প্রিয়,
গাঞ্জা নাকি ফিরি!

৬। ( রিপিট + কপি )
মনের পশুরে কর জবাই,
বাঁচে পশু, বাঁচে সবাই।