মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

ছাগ চিকিৎসা

ছাগ প্যাঁদানোর কায়দাটা কি,
ধরেই দিবো ফাঁসি?
হতেও পারে এর চে ভালো,
গা জ্বালানো হাসি wink

কাঁঠাল পাতা লুকিয়ে রেখে,
হয় না কোনো লাভ,
পাঠায় কি না খায় জানো কি,
সব খাওয়া স্বভাব।

নাপাক দেশের সব খবরেই,
ছোটায় ল্যাদার বান,
মারলো শিশু, দানব পশু,
মোসাদ নিলো কান।

দেখলে নারী দাঁড়ায় সটান,
তলপেটে সুড়সুড়ি,
মা-বোনকে ভুলছে তখন,
কল্পনা হুরপরী!

তিনঠ্যাঙাটার স্বভাব পেলে,
ভন্ড ছদ্মবেশী,
তালগাছটার দখল নিতে,
বুঝেন সবার বেশি।

বিনোদনের ছাগশিশুদের,
হয় না দেখে রাগ,
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যেন,
গদাম নিয়ে ভাগ।

====
https://scontent-a-sin.xx.fbcdn.net/hphotos-xaf1/v/t1.0-9/10407722_1523497197936242_5530807826914333307_n.jpg?oh=82df7e80f8234e4e0f79ded4e6aabb2b&oe=5545A49C
ছবিটা কি লাগছে চাঁদু,
ভীষন বিভৎস,
কাইট্যা দিলে হামলে পড়ে,
খাইবা না বৎস?

সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৪

বিজয় দিবস ২০১৪

বিজয়? সেটা সত্য ছিল, নয়কো মনের ভুল,
সবাই মিলে উপড়ে ফেলা, অশান্তির ঐ মূল।
আজ হাহাকার নয়কো আবার, দেখছি বিজয় ফের,
দুষ্টু ছাগল আর রাজাকার, ধরছি দিয়ে ঘের।
হউক সে দেরী, ঝুলবে তবু, শপথ নিয়ে বলি,
লক্ষ শহীদ, স্বপ্ন তাঁদের, আর রবেনা কলি।
হায়না-শকুন, দেই ভাগিয়ে, মরুক গিয়ে দুরে,
আগলে রাখি, স্বদেশ প্রিয়, ভরুক হৃদয় সুরে।
আয়রে সবে, কাঁধ মিলিয়ে, বানাই সেরা দেশ,
ফের সকলে, থাকবো সুখে, অপেক্ষা হোক শেষ।


---
সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। ১৬-ডিসেম্বর-২০১৪

শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৪

ফোরামটা ইদানিং ... ... ডিসেম্বর ২০১৪

বংগদেশের ছাগল নাকি বিশ্বে সেরা বেশ,
এই ফোরামে তাই বুঝি পাই, ব্যা-ব্যা লাদির রেশ ... ...
ভন্ডামীর ঐ আইনি ধারা, জামায় লাগায় নাম,
বোটকা লাদি গন্ধে ফোরাম, যায় বুঝি মোর প্রাণ।  hairpull

নাকটা চেপে ভাগলো সবে, সর্দি রোগী ভাবে,
হৈলো কিতা এই ফোরামে, কোথায় গ্যালো সবে?!
ও মডুগো, ও ভাইজান, খাইলো ছাগে ফুল,
খুটায় দড়ি না ধরালে, ফোরামটা ভন্ডুল।  isee

====
প্রাসঙ্গিক খবর: ব্ল্যাক বেঙ্গল বিশ্বের সেরা - প্রথমালু
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjvi42z77NDfbxj5zX9CRZcqU7-u9iADcayB5YesluBCbzB8brW_xVdM0ff3l6I-OVNtb87v-YQsyrKMYMmZYo6UBc3Hyr3kU4Bvfkyr8EnjpdicDwLB__2XRQX2XMisHJN_EM1S4JJAyQ/s1600/bengali+funny+photos++(25).jpg
http://www.cityfarmer.info/wp-content/uploads/2013/10/Dak4.jpg
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh-LnfgX8OjPczA5BanRyb_rlZSx5lvNga-skfJ_zO_-To8tSfbCLsC4LKeyIR5T1OTPqWOIbbKNiT2RVVr7hQ9wjZeU9n4TejjPn-Wv_W5sc3KvEaoWGUpcP2xLmmhjdxyURXTFpgwF8xi/s1600/PICT3672.JPG

বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৪

অরুণ অবসানে জোৎস্না

বধু বসে লাজে রাঙা, মুখে ঢাকা ঘোমটা,
এল বুঝি মধুক্ষণ, কাঁপে দুরু মনটা।
অবশেষে হল শেষ, ঠোঁটে হাসি মনে খই,
আয় কাছে মন খুলে, দুইখানা কথা কই।

যত খুশি, বাহাদুরি, করে যাও কতকাল,
হলে কিছু পুরাতন, দেখে নিও কত ঝাল!
পেট-মন-চোখ সবি, জ্বলে যাবে অনলে,
চিন্তারা লাইনছাড়া, খুঁজে সুখ পটলে!

হতে পারে উল্টা ও, সুখ ভুড়ি মনে ওম,
প্রতিবেশী ঈর্ষায়, জ্বলে বুধ, রবি-সোম।
রাঙা ফের জগতটা, জোর ছোটা শিখরে,
এমনই হোক সখা, আলোময় ও ঘরে।।

===
-- উৎসর্গ প্রিয় অরুণ কে;
-- কিঞ্চিত ব্যাখ্যা:
জীবিত = অরুণ = সূর্য = জলন্ত, দূর্বিনীত
বিবাহিত = জোৎস্না = প্রতিফলিত আলোর মত স্নিগ্ধ
 

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪

বিদায়ের অভিমান

একদম যাচ্ছি যে চলে আজ বাড়ি,
সুযোগ আর পাবি নাকো দিতে কোনো ঝাড়ি।
ভালবাসা স্মৃতিগুলো যদি মনে পড়ে,
ভেসে যাবে কিছু পরে, আঘাতের ঝড়ে।

খুঁজে খুঁজে এর পরে যদি কিছু পাস,
বেঁধে রাখ বাহুডোরে দুরে রেখে বাঁশ।
হয়তোবা উঁকি দিয়ে মাঝে যাব দেখে,
লোক বদলের মাঝে যদি কিছু শেখে ...

কভু যদি ভুলে দিস মোর জুতা পায়,
বুঝবি কী যন্ত্রণা জমা আছে তায় ...
অবুঝের ত্যাড়া ঘাড়ে বুঝেছিলি যা,
দেখে নিস কত ব্যথা দিয়েছিলো তা।

রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৪

হাটুরে জ্যামে বিদগ্ধ পংক্তিমালা

১।
খলবলিয়ে হাসছে দেখি, গোস্ত খাওয়ার দল,
ছাগল গরু কাটবে সবে, সবই ত্যাগের ছল।
বন্যা খুশির উপচে পড়ে, পশুর অবোধ কান্না,
রক্ত প্লাবন মধুর নাকি, চড়বে হাঁড়ির রান্না।

২।
রাস্তাটা ভরে গেছে গরু আর ছাগলে,
জ্যামে শান্তির বায়ু - কয় কোন পাগলে?

৩।
মেইন রাস্তায় পশুর হাটে,
নাইওর গেছে শৃংখলা,
যেমন ইচ্ছা যেথায় খুশি,
সভ্যতারে কাঁচকলা।

৪।
জুম্মা-দুপুর রাস্তা বন্,
লোকদেখানি মোল্লা,
কৈতে গেলে নামায় দিবো,
এক কোপে মোর কল্লা!

থাকুক জ্যামে আটকে সবাই,
হোক রোগী কি শিশু,
ধর্ম-বর্ম ভীষন ঝাঁঝের,
বলার আছে কিসু?!

৫।
ট্যাকের গরম বিরাট পশু,
ত্যাগের কি গো ছিরি,
এক দিনেতে হইলো প্রিয়,
গাঞ্জা নাকি ফিরি!

৬। ( রিপিট + কপি )
মনের পশুরে কর জবাই,
বাঁচে পশু, বাঁচে সবাই।

শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৪

হাবিজাবি

কিডা কিডা কবে জানি কিতা কতা কৈছে,
ইংরাজি গালাগালি, ম্যালা ভাব লৈছে ...
একবার বাটে পাই, চামে যদি মহাজন,
এমুনই সাইজ দিমু, রবে মনে আজীবন।

ফুটফাট ইংরাজি ঝাড়ে যবে আক্কাস,
ইসমাট ভাবে নিজে, লাগে নাকি ঝাক্কাস ...
আঁধারেও সানগ্লাস চোখ থেকে নড়ে না,
গরমেও সুট-টাই, গাধা গাছে ধরে না!

আপঝাপ চাপা ঝেড়ে মাঝে সাঝে ধরা খায়,
প্যান্টের খোলা চেন, সবে দেখে হাসে তায়!
ঝোল-ডাল-ভাত খাবে চাইনিজ কাঠিতে,
ঝড়ো হাওয়া স্ট্যান্ড ফ্যানে পরচুলা মাটিতে!

বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

ব্রাঞ্চ বিলাস

সিরকা পেঁয়াজ শশা,
ফুড শপেতে বসা,
ফুস্-পানি না লাচ্ছি?
বোরহানী আর কাচ্চি!

ডিম সাথে হাফ-চিকেন,
সাফ্-সুতরা কিচেন,
ঝোলের মাঝে চুল,
মাফ করা যায় ভুল?!

ফল, ফালুদা, জুস,
বিড়ির ধোঁয়া ফুস,
লালচে পানের পিক,
জর্দা ঘিলুর কিক্।

সবার শেষে বিল,
বিরাট রকম ছিল্ !  hairpull
খসলো ট্যাকের স্বাস্থ্য,
টিপস দেয়াতে ব্যস্ত।

==
ব্রাঞ্চ = ব্রেকফাস্ট + লাঞ্চ (সকালে নাস্তা না খেয়ে একবারে দুপুরের খাবার খাওয়া)

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৪

ছড়াকাঠিন্য

হারিয়ে গেছে ছড়া,
মাথায় ছন্দ খরা,
ক্লান্তি বিষাদ কড়া,
খাচ্ছে পাঠক ধরা।

মনটা বলে কাঁদি,
লিখতে ছড়া যদি,
ছড়ায় বর্জ্য লাদি,
হাসবে নাতি-দাদি।

কেমন করে মন,
ফুড়ুৎ উচাটন,
বলছি ডেকে শোন,
খুঁজছি চতূষ্কোন।

করছে না তো ক্লিক,
বিরক্তি ধিক্ ধিক্,
মাথায় ঘড়ির টিক,
আকাশটা ঝিকমিক।

জোরসে মারি ঠ্যালা,
আজকে সারাবেলা,
বিষম নিনাদ খেলা ...
দেখবো কে কার চ্যালা!

শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০১৪

বাড়াবাড়ি'র দূঃখ

সবে মিলে রে রে করে, বলছে যে কমাতে,
সুন্দর বেড়ে ওঠা, জোর করে দমাতে ... ...
আরে বাবা, বাড়ুক না; তোমাদের ক্ষতি কী?
দাবী-দাওয়া, হুমকীটা; দেবে নাকো যতি কি?

বেড়ে বেড়ে আকাশটা, ছুঁলে কী বা এসে যায়,
অসুবিধা নাই তব, নিশ্চয়ই দেবে সায়!
প্রতিদিন এক গান, রেকর্ডটা ভাঙ্গা এক,
আগে বেড়ে কেউ কবে, করেছে কি কামব্যাক?

কান পোঁকা হাঁসফাঁস, আর কত শোনা যায়,
জানো যদি উপায়টা, বলে যাও আমা তায়।
এইবার পিছু টান! হও কেন ভাগারাম?
বাড়াবাড়ি কমানোর, দিয়ে যাও সামাধান।

শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০১৪

সংযম

সদা ভাবে, কি যে খাবে, সারাদিন রাঁধে,
লোল ঝরে, ক্ষুধা স্মরে, মন রাঙা স্বাদে।
খাওয়া নাই, ফাঁকি তাই, কাজে কামে ঢিলা,
ভাবি তাই, কোথা যাই, মেজাজটা বিলা!

চেটে খায়, সন্ধ্যায়, আলিশান ভোজ,
ভাজা খায়, মজা পায়, হালিমটা রোজ।
ভুড়ি গোল, খেয়ে ঢোল, তবু রোল চায়,
ভূণা শোল, ঢিলা ঝোল, সাথে ঘোল খায়।

হরদম, সংযম, করে বুড়ো-খোকা,
করে ঢং, রেগে টং, বাজারেতে ধোকা!
বেশি দাম, হয়রাণ, তবু কেনা চাই,
এর নামই, সংযমী, মনে রাখা চাই!

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০১৪

বৃষ্টি

আঁধার কালো, অনেক ভালো, দিনের বেলায় রাত যেন,
নামবে ধারা, বাঁধন হারা, টাপুর টুপুর গান শোনো।

জানলা খুলে, কাজটা ভুলে, তাকিয়ে দেখি ঐ ঝরা,
থাকনা থেমে, ক্লান্তি ঘেমে, ভিজুক খাঁ খাঁ মন খরা।

তা-থৈ নাচে, সতেজ বাঁচে, মনমরা নয় মনকলি,
খানিক ক্ষণে, উদাস মনে, ভুলুক মনের ক্লেদ-কালি।

কড়াৎ বাজে, মনের মাঝে, জাগ্ শিহরন ভয় লাগা,
উত্তেজনায়, আমোদ বাঁচায়, অচিন ঘোরে ফের জাগা।

সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪

দৃশ্যপট: নদী আর মানুষ

লাউ কদু কুমড়া, খোল ভরা নাওরে,
হাটবার ধরতে, কষে তরী বাওরে।
চ্যাং ব্যাঙ ফ্যাল ওরে, পাবদাটা রাখ ঐ,
শুটকিটা কাটে কেরে? সেই নাও সাদা ছই।

এঁকে বেঁকে ঢেউ কাটে, নাও বায় জোরসে,
গাঙ পাড় কাদাময়, বাবু চিৎ পড়ছে।
ঘুরে ঘুরে উড়ে ঐ, সাদা সাদা গাঙচিল,
পিচ্চিটা পাড় থেকে, নৌকায় মারে ঢিল।

ডুব দিয়ে ধরে মাছ, হাঁস পানকৌড়ি,
খায় দাদী ফোকলা, পান ছ্যাঁচা মৌরি।
জর্দার তেষ্টায়, বুড়া খোঁজে কৌটা,
নাইওরে যায় বুঝি, ও পাড়ার বৌটা।

উত্তাল উঠে ঢেউ, পথে নাকি গাঙ্গে,
এলো চুলে হেঁটে যায়, শাড়ি পরা ঢঙ্গে!
সাঁতারের পাল্লায়, ছেলেদের কোলাহল,
আঁড়ে দেখে খোকাহারা, মা'র চোখ টলমল।

==
এটা থেকে অনুপ্রাণিত।

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০১৪

বানভাসি

গণগণে এক তাপবাহ ঐ, পড়লো যবে ঘরে,
জমাট বাঁধা ঠান্ডা কঠিন, বরফ গলে ঝরে।
কলকলিয়ে ছুটলো জলের, আবেগ মাখা ঢেউ,
এমন ভীষণ বানভাসি কি, দেখছে কবে কেউ?

[কোরাস]
বাম্পার ফলনে, আইসবার্গ গলনে,
বান জলে ডুবা দেখে, মনমরা জ্বলনে।
[/কোরাস]

কল কল ঘোলা জলে, হল সব ময়লা,
টলটলে ঐ পানি, দেখে লাগে কয়লা।
নাইবার এসে দেখি, জলে ভাসা বাগানে,
ফুল-পাখি-গান নাই, নীল নাই গগণে।

[কোরাস]
বাম্পার ফলনে, আইসবার্গ গলনে,
বান জলে ডুবা দেখে, মনমরা জ্বলনে।
[/কোরাস]


==
ব্যাখ্যাঃ
কোনো এক ব্লগসাইটের ফ্রন্টপেজে শুধু কবিতা আর কবিতা ---- দেখতে দেখতে হয়রান গফুর হয়া গেলাম।

সোমবার, ২ জুন, ২০১৪

ইন্টারন্যাশনাল ... ...

জাপানের টয়োটা, স্যামসাং কোরিয়া,
আকুপাংচারে গেল, হংকং মরিয়া।
তাতী বাড়ি বঙ্গে, গার্মেন্ট মসলিন,
সুইস চকোলেট আর, পনিরটা মসৃন।

সন্ত্রাসে ইউএস, সেখানেই বন্দুক,
বার্মায় গেলে পরে, গাঁজা খেয়ে খুব সুখ।
যত বেশি ইতালীয়, গ্যাঞ্জাম ততোধিক,
সাগরের গর্জনে, ডাচ হাসে ফিক ফিক।

ইউকে'র লেখাপড়া, ব্রিটিশরা হারামী,
লুতুপুতু বাবুগণ, করে যায় গোলামী।
পর্তুরা করেছিল, মারামারি সাগরে,
জার্মান মেশিনে, গিয়েছিলো সমরে।

ফরাসীর ভালবাসা, কঙ্গোর হীরাতে,
নেপালের শেরপা, হিমালয় চূড়াতে।
অসভ্য আরবে, মেয়ে মারে পাকিরা,
ফুটবল ব্রাজিলে, চেয়ে দেখে বাকীরা।

===
ইহা যদি পাঠ্যপুস্তকের কোনো ছড়া হইতো তবে পরীক্ষায় প্রশ্ন আসিতো: সমূদ্র গর্জনে ডাচদের দন্ত বিকশিত হাসির রহস্য সংক্ষেপে বর্ণনা কর ...

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০১৪

পথের শের

পথে যানজট ভীড়ে, চলছে সবাই ধীরে,
ব্যগ্র সবে নিজকে নিয়ে, ফিরবে আপন নীড়ে।

দাঁড়িয়ে থাকে ঠাঁয়, রোগীর গাড়ি হায়!
ইতর জটে মরলে মরুক, কার কী আসে যায়!

অসভ্যতার ফেউ, ছাড় দেবে না কেউ,
নিজের ফাঁদেই পড়ছে সবে, কাঁদিসনা ভেউ ভেউ।

ও চাবুক খাওয়া ভক্ত, বুঝতে পারা শক্ত?
সময় হল সভ্য হওয়ার, শুদ্ধ কর রক্ত।

==
সোয়া-সের for শোয়া-শের: ৪টি ভিন্ন অনুচ্ছেদ আলাদা আলাদা শের এর মত করে পড়া যেতে পারে।
সোয়া = শতকরা ২৫ ভাগ বেশি
শোয়া = শায়িত অবস্থা
সের = ওজনের পরিমাপ
শের = বাঘ, সিংহ; ফার্সি ও উর্দূ ভাষার দুই লাইনের কবিতা

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

হাবুডুবু কাজে

লোকটা ডুবে কাজের চাপে, 
ফুসফুসে তার নাই বাতাস, 
আফসোসেরও সময়টা নাই, 
বুক ভরে চায় একটু শ্বাস। 
       
অভাব জ্ঞানের সাঁতার কাটা, 
জীবনখানাই হয় মিছে, 
ভাবছে বাঁচার চেষ্টা নিয়ে, 
পালাবে এক দৌড়-খিঁচে। 
       
দৈবগুণে হয়তো হঠাৎ, 
ক্ষণিক ভাসা ঐ নীলে, 
আনন্দে নেয় বুকভরা শ্বাস, 
উড়ছে যেন গাঙচিলে। 
       
অন্ধকারে থাকছে বলেই, 
মূল্য বোঝা এই আলো, 
মুক্ত সময় কতই গেছে, 
ভাবছে বসে মুখ কালো। 
       
আকাশ বিলাস পেছন ফেলে,   
গ্রাস করে ফের সেই জলে, 
থাকলো পরে স্মৃতির চাবুক, 
সমূদ্র নীল সেই হুলে। 
       
       
       
       


==
ব্যাখ্যা: কাজের চাপে একটু ছড়াবাজি কিংবা একটু ফেসবুক/ফোরাম/ব্লগ/পেপার খুলে দেখারও সময় পাওয়া যাচ্ছে না। সাঁতার না জানার ফলে নৌকা আরোহী পণ্ডিতের যেমন পুরা জীবনাই মিছে হয়ে যায়, তেমনি কাজের সমুদ্রে সাঁতার না জানাটাও একই রকম প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। হঠাৎ করেই হয়তো কাজ ভিলেনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মুক্তির জানালায় একটু সময় কাটানো গেল। কর্মহীন অতীতে এরকম কতই ফ্রী সময় অবহেলায় কেটে গিয়েছে ভেবে আফসোস হয়; একটু ছুটি যে কত দামী সেটা এখন বুঝা যাচ্ছে। ছড়া/কবিতা লেখার এই ক্ষণিকের অবসরটুকু শেষ -- আবার সেই নীল বেদনাময় কাজের জঞ্জালে ডুবতে হবে। -- ছড়াবাজ।

সোমবার, ১৯ মে, ২০১৪

কথাবার্তা সাবধানে ... ...

"ছানাবড়া চোখ" শুনে পিচ্চিটা তাকালো,
বুঝে নাকি না বুঝে ও মাথাখানা ঝাঁকালো ...
মনে মনে শঙ্কায় ভাবলাম লে ঠেলা,
ভীমরুল জিজ্ঞাসা, থামবেনা এ বেলা।

বড়া কী? ছানা কী? চোখ হলো কানা কি?
কানা মানা জানা নাই? ছানা কি গো গাওয়া ঘি?
সুযোগের সন্ধানে, যেতে চাই সটকে,
গলা ছাড়্ বিটকেল! থাকিসনা লটকে।

আইসক্রিম গলা নাকি? যাবে গলে গরমে?
বিটকেলে ইট কই? খিল্ খিল্ চরমে।
চুপচাপ পড়ে থাকি, ঝিম মেরে মটকা,
রক্ষা কি আছে তায়, খো‌কা রাম ফটকা!

বানানে হয়রান

বর্ষার ধারাপাতে নামে নাকি বিষ্টি,
কুড়ি নাকি গরল তা, শুনে ভাবি মিষ্টি।
শুনেছি ও বিষখানা, জলে নাকি গলে না,
ভেজালের জয়কারে, খেলে কেউ টলে না।

==
ব্যাখ্যা:
বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টিকে আদর করে বিষ্টি লেখে দেখে মাঝে মাঝে সেটা কোন শব্দের টুইস্ট সেটা চিন্তা করে ধাক্কা খেতে হয়। কাছাকাছি আরও অনেক শব্দ আছে যাদেরকে অপভ্রংশে বিষ্টি বলা যেতে পারে। যেমন:  বিষ্ঠা (পয়ঃবর্জ্য), বিশ (twenty), বিষ (গরল, বিষাক্ত দ্রব্য), বিস্ট (beast, জানোয়ার - নিষ্ঠুরতা বা গোয়ার্তূমী অর্থেও)।

শনিবার, ১০ মে, ২০১৪

ছড়ানু - ০৪

১।
এই শহরে ইট-পাথরে,
বিরাট বন্দীশালা,
আকাশ-তারা, জোৎস্না চাঁদের,
নাইকো আলোকমালা।

২।
চুঁইয়ে পড়ে কষ্টগুলো,
আদর মাখা স্মৃতি,
গভীর ছোঁয়ায় মনকে ঝাঁকি,
হুতাশ বৃহস্পতি।

৩।
ছা গুলো আর থাকবে নাকো,
উড়বে পাখা মেলে,
শুনবে নাকো পিতার কথা,
আদর সোহাগ, কিলে!

৪।
সকাল বিকাল চারবেলাতে,
সব খাবারেই আলুর জয়,
কর্তা যদি হয় আলুবাজ,
গিন্নি মনে নিরেট ভয়।

৫।
অরুণ রাঙা, আজ উদাসীন,
দিচ্ছে নাতো সান্তনা,
"যেমন খুশি", শেষ হলো আজ,
আইবুড়োদা'র যন্ত্রণা।

==
শব্দার্থ:
হুতাশ [hutāśa] বি. হতাশা দুর্ভাবনা বা আতঙ্কের অভিব্যক্তি (হা হুতাশ করা)। [< সং. হতাশ]।
বৃহস্পতি [bṛhaspati] বি. 1 দেবগুরু; 2 মহাপণ্ডিত; 3 গ্রহবিশেষ; 4 সপ্তাহের বারবিশেষ। [সং. বৃহত্ + পতি]। একাদশ বৃহস্পতি 1 (জ্যোতিষ.) জাতকের রাশিচক্রের একাদশ কক্ষে বৃহস্পতি-গ্রহের অবস্হান; 2 (আল.) অত্যন্ত শুভ বা উন্নতির সময়। বুদ্ধিতে বৃহস্পতি অতি বুদ্ধিমান। বৃহস্পতিবারের বারবেলা বি. জ্যোতিষশাস্ত্রমতে বৃহস্পতিবারের যে সময়ে শুভকাজ নিষিদ্ধ।

বুধবার, ৭ মে, ২০১৪

ছড়ানু - ০৩

১।
সব বাঁধনই ছিড়লো যখন,
ছাড়লো যমের নাও,
পড়লো মনে তখন বুঝি,
ছোট্ট বেলার গাঁও।

২।
অনেক ঝড়ের পরে,
আসলে বোঝার সময়,
ছিঁড়লো মায়ার বাঁধন,
বিদায় নিলেন চুমোয়!

৩।
হাতটা খালি পকেট ফাঁকা,
দিচ্ছি যে তাই, গা-ঢাকা।
পাওনাদার ঐ ঘুরছে দেখ,
লুকিয়ে বসে কবতে লেখ।

৪।
কাঁদিস নারে অবুঝ পোলা,
পাসনে মোটেও কষ্ট,
কত রাণীই বাড়িয়ে দুহাত,
করতে জীবন নষ্ট।
(হাত বাড়িয়ে পড়বে ঝুলে,
বুঝবি কেমন চড়তে শুলে!)
  hehe

৫।
আশায় আশায় থাকলে বসে,
হচ্ছে নাতো কিছু,
দাঁড়াও খাড়া শিরদাঁড়াতে,
নয়তো ঝুঁকে নিচু।

৬।
ইচ্ছে করে দেই যে ঘুটে,
সমাজ নামক যন্ত্র,
শান্তি সুখে উঠুক ভরে,
ছুঃ মন্তর মন্ত্র!

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০১৪

বোকা বকা

বাজ পড়েছে রাতের বেলা,
বললো যবে খোকা,
গেলেন রেগে মজনু মিয়া,
"রে বদমাশ বোকা"!

জানিস নে তুই শব্দে বাজের,
ঘুম হয় না মোর,
ডাকলি না ক্যান? জেনেও সেটা,
সাহস কত তোর!

গেলাম বেঁচে স্বস্তি ভেবে,
ফু দেয় নিজ বুকে,
এবার তবে একটু ঘুমাই,
দিনের বেলায় সুখে!

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৪

বিদায়?

কাউকে মারিনি, চিমটি কাটিনি, লিখেছি শুধু ছড়া,
হালকা ভাবের, অম্ল ক্ষারের, মোটেও ছিল না কড়া।
ভুল করে কেউ, যদি করে ভিউ, ছোটে যে খুশির বাণ,
ক্ষণস্থায়ী, প্রেরণাদায়ী, মুছে দেয় অভিমান।

কৃতজ্ঞতায়, বলছি তোমায়, দিয়ে দেই ক্ষ্যামা আজ,
অনেক সয়েছো, আহত হয়েছো, ব্যহত করেছো কাজ।
জোর করে আর, দিয়ে ছড়া হার, আর নয় চোখ ব্যাথা,
যা কিছু লিখি, আড়ালেই রাখি, বন্ধু দিলাম কথা।

ভেবোনা ব্যাটায়, হিট খেতে চায়, চাচ্ছেন মনযোগ,
ভাব নিয়ে খুব, বড়ই বেকুব, ভাড়ামীতে দিবে যোগ।
নিচ্ছি বিদায়? মোটেই তা নয়, সহজে দিবোনা ছুটি,
কাম কাজ নাই, টাইমপাস তাই, সময় থাকতে ফুটি!  tongue    yahoo

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৪

এভাবেই যদি পোড়াও

খবরটা যদি দিতে, কিছুক্ষণ আগে,
লবণটা কিনে নিয়ে আসতাম সাথে।
ছিলে কেটে পুড়িয়ে, লবণের ছিটা,
দেখতাম চেখে চেটে, কতটুকু তিতা।

পুড়ে পুড়ে অঙ্গার, হলে পরে সোনা,
বড়লোক হল কি না, দেখি দিয়ে গোনা।
পুড়ে খাঁটি হলে পর, আঘাতেই শত,
বুঝতাম ভাঙে কিনা, টেকসই কত।

হৃদয়টা ভেঙেচুরে, কয়লার মত,
ময়লার অসুবিধা, আর হবে নাতো।
ইচ্ছের রাজা হয়ে, যেথা খুশি যাব,
যারে খুশি খেলিয়েই, এঁদো খুটে খাব!‌‌

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৪

প্রতীক্ষায় নতুন দিন

নতুন আলোয় উঠুক জেগে, আরেকটি দিন সমুদ্দুর,
সম্ভাবনায় অসীম নিয়ে, ভণ্ডামিটা থাকুক দুর।
আবেগ চেপে আর বলোনা, মন রাখা লোক প্রিয়ংবদ,
শুভ্র হৃদে দেখলে যা তাই, বলতে হলে হোক বিপদ।
দ্বৈত-প্রমিত রাখ সরিয়ে, আজ থেকে হও সেই মহান,
বলছো যা তা নিজেও করো, কাজের মাঝে হোক প্রমাণ।
অহং ত্যাগে মানুষ বিচার, আজ থেকে হোক সর্বদাই,
উচ্চ নীচের বিভেদ রেখা, লুটিয়ে সমান হই সবাই।

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪

মেতে উঠি উৎসবে

ধূ ধূ মাঠ, পড়ে থাক, সব কাইত গরমে,
শুনলাম, কেবা হেথা, আসছে না শরমে!
বৈশাখী ঝড় এসে, দেয় যদি উড়িয়ে,
ভয় পাই, মজা নাই; যাচ্ছি কি বুড়িয়ে?

ছড়াদের আশে পাশে লাগে বুঝি খাট্টা,
লেজ নেড়ে, তেড়ে এসে, মেরে দেবে গাট্টা!
তাই কেউ আসলোনা, ছড়াগুলো শুকালো,
বিনা সেঁচ মরে ভুত, তারা সব লুকালো!

ঘুম সেরে, আড়মোড়া, ভেঙ্গে যাক গুড়িয়ে,
অলসতা ক্লেদ-ক্লেশ, ব্যাধি মূক পুড়িয়ে;
ফুট ফাট, ফেটে পড়, খৈ ফোটা কথাতে,
উৎসব, চল মাতি, জাগি ফুল ফোটাতে!

সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

জগাখিচুড়ি

অসার লেখা ফালতু বাত,
করছি হেথায় দিনকে রাত;
ভর্তা গাজর, শুটকি ঝাল,‌‌
হালুয়া মূলা, কলার ছাল।

মরিচ পোড়া কদবেলে,
কোপ্তা রসুন তেলতেলে!
তালমিছরি বিট লবন,
মাছের তেলে বাটারবন।

ঝোল খিচুড়ি, শুকনা দই,
মটর দানা, চিড়ার খই;
কাউন ম‌োয়া, তেঁতুল চাট্,
লাউয়ের বিচি, কচুর ডাঁট।

মিষ্টি বড়ই, পাকনা বেল,
চিমটি খানেক তিলের তেল;
পাপড় ভাজা, চটপটি,
মুরগী গুড়ের লটপটি।

চূণের পানি দুই ফোঁটা,
এলাচ, চিনি, পান বোঁটা;
এদের সাথে আমায় দিস,
ময়না পাখি, লইট্যা ফিশ।

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪

লোকটা বড়ই শেয়ানা

লিখা লিখি করে না,
মিছামিছি নড়ে না,
লোকখানা সারাদিন বসে মারে ঝিম্

ক্ষিদে পেলে একবার,
ডাকাডাকি কারবার,
কে আছিস্, দিয়ে যা রে ঘিয়ে-ভাজা ডিম।

ব্যাটা বড় শান্ত,
ঝড়ে মন ক্লান্ত,
মনে মনে হাতি ঘোড়া কত মারে রোজ ... ...

ঝিমানোর ফাঁকে ফাঁকে,
আঁকিবুকি ছবি আঁকে,
ঢেউ তুলে হাঁটে কে রে? নেয় তার খোঁজ।

দেখে লোকে প্রতি রাতে,
গাছ-তলা ঠিকানাতে,
বিড়বিড় করে বকে, হাতে মুঠোফোন ...

তোমরা তো জান না,
ব্যাটা বড় শেয়ানা,
পাগলামো? নাকি চর? সন্দেহে মন।।

==
চর = জলকনা-চটকনা-চড় কিংবা চোর নয়, নদীর ধূ-ধূ বালু চর নয়, এ হল স্পাই অর্থাৎ গুপ্তচর।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

খুকির সকাল

সাত সকালে চড়ুই পাখি, কিচির মিচির ডাকে,
ওঠ্ মা-মনি, পাঠশালা যা, খুকির বাবা হাঁকে।
ঘুম ঘুমেতে গড়ান দিয়ে, ঝামটা মারে মুখ,
উঠবো না না, ধ্যাত্তারিকা, ঘুমের মাঝে সুখ!

যাওতো তুমি! ইশ্কুলেতে আর যাবোনা আমি,
ওঠ্ এখনি, হাতমুখ ধোও, আর নয় শয়তানি।
চাওনা কেন সেথায় যেতে, খাও কি বকা রোজ?
আজই গিয়ে মিসের কাছে, নিচ্ছি আমি খোঁজ।

আমিই যাব তোমার ক্লাশে, সেটাই কি গো চাও?
শিখবো লেখা, ছবি আঁকা, টিফিন আমায় দাও।
এই না শুনে, উঠলো খুকি, রেডি হওয়ার তাড়া,
ভিষন মজার ইশ্কুল তাঁর, করবে না হাতছাড়া।

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৪

ছাতা হারানোর দিনে ... ...

ছাতাটি থাকতো চুপচাপ শুয়ে,
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরতে,
নিশ্চিত মনে ভরসা ছিলেন,
স্মৃতির প্রতিটি পরতে।

মোদের জীবন করতে রঙীন,
থাকলেন সাদাকালো;
বটগাছ যথা, ছায়া শ্যামলিমা,
নিকষ আঁধারে আলো।

জলসিঞ্চনে সিক্ত কপোল,
হারানো ছাতার শূণ্যতায়,
মায়াহীন রোদে নিরূপায়ে বাড়ে,
অশ্বত্থ একা শ্মশ্রুধারায় ... ...

==
শব্দার্থ:
শ্যামলিমা - greenery, সবুজ আচ্ছাদন (?)
কপোল [ kapōla ] বি. গণ্ড, গাল। [সং. √ কপ্ + ওল]। ̃ কল্পনা বি. অবান্তর কল্পনা; গালগল্প। ̃ কল্পিত বিণ. মনগড়া (কপোলকল্পিত গল্প)।
অশ্বত্থ [aśbattha] বি. বড় গাছবিশেষ, পিপুল। [সং. ন + শ্ব + √ স্হা + অ]।
শ্মশ্রু [śmaśru] বি. 1 দাড়িগোঁফ; 2 (বাং.) দাড়ি। [সং. শ্মন্ + √ শ্রি + উ]। ̃মণ্ডিত, ̃ল, ̃শোভিত বিণ. শ্মশ্রুময়, দাড়িগোঁফে ঢাকা (শ্মশ্রুমণ্ডিত মুখমণ্ডল)।

ব্যাখ্যা:
ঠিক ৪ বছর আগে এই দিনে বাবাকে হারিয়েছিলাম ... ... শেষ বয়সে চুপচাপ শুয়ে বসে কাটালেও, আমার সমস্ত অর্জনের প্রেরণা ছিলেন উনি। ওনাকে হারিয়ে অনুভব করলাম মাথার উপর থেকে অন্যতম ভরসার ছাতা সরে গিয়েছে। বেচারা সারাজীবন আমাদের জন্য কষ্ট এবং ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বটবৃক্ষের মত ছায়া হয়ে ছিলেন। আজ নিজেকেই ধীরে ধীরে বটবৃক্ষ (অশ্বত্থ) ভূমিকায় নামতে হচ্ছে ...