বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৫

ব্যাকডেটেড


হিজিবিজি সময়ে, ভেরি বিজি সকলে,
আয়োজনে জোৎস্না, তাই যায় বিফলে।

গাড়ি চড়ে বড় বাবু, লেখা পড়া কবে শেষ,
জানালায় চোখ নাই, অবিরত ফোনে বেশ!

ঘর কোণে আরামে, আলাপের চাইল-ডাইল,
গোলামীর ফোন বাজে, মিটিংএ ডাকে কাইল।

পার্ক-বন নদী-লেক, গেল নাকি ঘুরবে,
সেলফির ক্রেজ ভিড়ে, শিরে খুন চড়বে।

চিৎকার বিপদের, হেল্প হেল্প বলে কে?
মরুকগে করি ক্লিক, ফেসবুকে তুলে দে।

এলিয়েন হয়ে ভাবি, এলাম রে এ কোথা!
পুরাতন বোধ সবি, ঝেড়ে বাঁচ্ হে বোকা।

বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০১৫

ভালবাঁশে ভালবাসা

কাঁচা হলে ফাঁটাফাঁটি,পাকা হলে হয় যুৎ,
শক্ত ও বাঁধনেতে, ভাল বাসা নাই খুঁত।

ভুল বুঝে যেও নাকো, ভালবাসা জারি থাক,
জেনে রেখো সখা ওগো, বাঁশ নিয়ে এ আলাপ।

জীবনের পদে পদে, বাঁশ নিয়ে করি বাস,
জানাবার আগ্রহে, আকুপাকু হাঁসফাঁস।

ঐ সেদিনের কাজলা দিদি, সঙ্গে ছিল বাঁশবাগান,
ইদানিং ঐ কেল্লাবাঁশের, ছাগের লাদি খুব বিলান।

লেখাপড়ার শক্ত বাঁশে, জীবন যাপন হয় তিতা,
সফলতায় বাঁশ হজমে, মিষ্টি খাওয়ায় কার পিতা।

কাঁচা বাঁশে প্রেমের ঘুণে, ফিউচার হয় ফকফকা,
পাঁকা বাঁশের ইটিশ পিটিশ, পরকীয়ায় সব ধোকা!

বাঁশের চাটাই, বাঁশ খাটিয়া, রওনা হলেন কোনখানে,
জীবন শেষেও সব বাঁশময়, বাঁশ হৃদয়ে প্রেম আনে।

শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ভালোর রকমফের

অনেক ভালোর রকমফেরে, ওলটপালট চিন্তা,
ভাবতে বসে চুল্কে মাথা, কাটলো যে এই দিনটা।

যাচ্ছে ভালো চোর চোট্টার, বাকবাকুম ঐ চামার,
ভেজালেতে লাল কারবার, কী এসে যায় আমার!

বস এসে খুব বললে হেসে, হবেই ভালো সবার,
আশার বেলুন চুপসে দেখি, হচ্ছে এ কী! ভাগাড়!

অকর্মা আর চোর-চোট্টায়, উপচে তেলের ভান্ড,
অয়েল ম্যাসাজ চলছে জোরে, দেখছি বসে কান্ড!

হচ্ছে ভালো সত্যিই তো, এই আকালের যুগে,
ডান্ডা ছাড়াই ঠান্ডা করা, অসম্মানে ভুগে!

চামচিকাদের লাত্থি খেয়ে, ভালই যদি হয়,
কাদায় নেমে যুদ্ধ করা, কম্ম মোদের নয়।

ভালোর ভারে ঘুরছে মাথা, নাইকো ভালোর শেষ,
ভাগতে হবে সব গুটিয়ে, এটাও ভালো বেশ।

রবিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

লাইনে আনুন

আ্যাই গলু সল না, ঐদিকে চল না,
শিং দিয়ে ঢুশ-টুশ, মারিসনা ভাই;
যেন খুব শরমে, গলা স্বর নরমে,
গরুগুলো বেয়াড়া, শোনেনা ত‌ো ছাই!

সপাসপ বেত হাতে, এই নিয়ে চল সাথে,
মহিষ বা গাধা-গরু, লাইনেতে থাকে ...
দুনিয়ার ধারা এটা, শক্ততে সোজা হাঁটা,
নরমের জম সবি -- যেন মনে থাকে!

দে না বাঁশ ধরে ধরে, রিকুয়েস্ট খ্যাতা পুড়ে,
গদাম দে পশ্চাতে, প্যাঁচায় যে ত্যানা ...
বিচারটা ন্যায় হলে, চারিদিকে সোনা ফলে,
আর নয় ভদ্রতা, নয় আলোচনা!

বুধবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫

হিজিবিজি হাম্বাজীবি

ফাঁকা মাঠে ছাড়া ইচ্ছামত,
ছক্কা পাঞ্জা মেরে,
সেদিনের সেই নেংটিগুলো,
উঠেছেন বেড়ে ধেড়ে!

পকেট ভরা নেংটি নিয়ে,
ঘুরলাম কতকাল,
কোনোদিন কোনো ক্যাচালে যাইনি,
মারিনিকো কোনো ফাল;

তবুও যদি কুটুস করে,
কখনো কামড়ে দেই,
রাজা-উজিরেও উল্টাবে তবে,
হারিয়ে চাপার খেই।

চুপচাপ দেখি বসিয়া আড়ালে,
বোম-ভোলানাথ হয়ে,
মাত্রা ছাড়ালে ভেবোনাকো চাঁদু,
চিরকাল যাব সয়ে।

সোমবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫

প্রবাদ ভুল হলে

কুতকুতে কয়লায়, ধুয়ে সব ময়লায়,
আজ আহা ফটফটে, ফিট-ফাট বাবু ...
ঝকমকে স্মার্ট গাই, স্যূট-বুট সাদা টাই,
কয়লাকে আজ দেখে, প্রবাদটা কাবু!

পুরাতন দুরে যাক, একালের ওস্তাদ,
ধবধবে ক্লিন দেখে, উছলায় সুখে ...
কয়লার সাথে মিশে, যন্ত্রনা নয় বিষে,
রাজি নয় সন্দেহে, খৈ ফোটা মুখে।

প্রবাদটা হলে ভুল, কিছু নয় ভণ্ডুল,
তানাহলে দেখা ফের, ধরা খাওয়া দল,
বার বার ঠেকে শেখা, বোকা সাজা তাই সখা,
সিঁদুরে ও মেঘ দেখে, কী যে করি বল?

বুধবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৫

রূপকথার বিপ্লব

রূপকথার ঐ দেশে,
রাতটি হলে পরে,
মানুষ দিয়ে আসতো তারা, ক্ষোক্কসেরই তরে।

ভেট যদি না পেতো,
তখন ইচ্ছামত,
মারতো যাকেই দেখতো পথে, চিবিয়ে মুণ্ডু খেতো।

চারদিকে আজ ভয়,
কখন কী যে হয়,
কার গায়েতে লাগবে আগুন, পুড়বে জীবন ক্ষয়!

দেশজুড়ে রাক্ষসে,
ভীষণ আক্রোশে,
মারছে আদম যখন তখন, যুক্তিবিহীন ত্রাসে।

লাগবেই যদি লাশ,
ঠিকুজিটা বলে যাস,
নিজ খরচে করবো সেথায়, আগুনের সন্ত্রাস।

তোর ঠিকুজির তলে,
পেট্রোল ঢেলে জ্বেলে,
জনগণ ছাড়া জমাবো তোদের, বিপ্লব হেসে খেলে।